কোনও
জায়গায় ঘুরতে গেলে সবচেয়ে দরকারি প্রশ্ন টি হল আপনি কি কি দেখবেন। কারণ যে
নির্দিষ্ট সময়টুকু আপনি পেয়েছেন, তাতে আদৌ যদি প্ল্যান না করে যান, অনেক কিছুই
আপনি মিস করবেন। তাই সবার আগে ঘোরার জায়গা গুলি দেখে নেওয়া ভাল। মন্দারমণি তে
প্রায় ১০ কিমিরও বেশি সুদীর্ঘ সৈকত আছে। তাই আপনার বিচরণের জন্য এটি একটি উপযুক্ত
স্থান। রোসভ্যালির সামনেই একটি টেরাকোটা
ধাঁচের মন্দির আছে। আমরা সময়ের অভাবে সেটি দেখতে পারিনি। আপনারা সেটিকেও দেখে আসতে
পারেন। মন্দারমণি সৈকত প্রায় ১০ কিমি বিস্তৃত।
বা তারও বেশি। আপনি সৈকতে সময় কাতানর মত অনেক কিছু পেয়ে যাবেন। এখানে অশান্ত ঢেউয়েরা রয়েছে, বালিরা রয়েছে,
জলের শব্দ রা রয়েছে, রংবেরঙের ঝিনুক রয়েছে, নির্মল হাওয়া রয়েছে... আর কি চাই!
প্রায় ছড়ানো ছেটানো সমস্ত বীচেই আপনি ঝিনুক, শামুক, ইত্যাদি পছন্দের জিনিসগুলি
দেখতে পাবেন।
যদি সন্ধ্যের মুখে বা ভোরবেলায় সৈকতে আসেন,
সঞ্চেয়ে বিখ্যাত যে জিনিসটি দেখবেন, টা হল কাঁকড়া। লাল অ সাদা দুই প্রজাতির ছারাও
এখানে বেশ কয়েক প্রজাতির কাঁকড়া রয়েছে হাজার গর্তের ভিতরে। তারা অই সময়গুলিতে গর্তের
বাইরে বেরয়। তবে তাদের গর্ত যেখানে বেশি,সেখানে একটু সাবধানে হাটাচলা করবেন, গর্তের
কারণে সেখানে মাটি ফাঁপা। দুর্ভাগ্যবশত প্রতিদিনই প্রায় কয়েকশ কাঁকড়া শুধু গাড়ি
ছাপা পরেই মারা জায়।
কাঁকড়া এখানকার সৈকতের প্রাণী। এছাড়াও সমুদ্র
থেকে জোয়ারের সময় ভেসে এসে আর ফিরতে পারেনা, এরকম অনেক প্রাণীও আপনি বীচে দেখতে
পাবেন। যেমন স্তারফিশ (এন্তিদন), হারমিত ক্র্যাব, কুচে মাছ ইত্যাদি। আমি ত এদের যাতায়াত ও ভিডিও করে রেখেছিলাম, বেশ
মজা করেই! তবে এটাও খুব দুখের কথা, এখানে জলের স্রোতে ভেসে এসে ফিরতে না পেরে এদের
অনেকেরই মৃত্যু হয়।
সমুদ্রের ঢেউয়ে অনেক হারমিত ক্র্যাব
পাবেন। বিভিন্ন ধরনের শামুক এর ভিতরে। সমুদ্র সৈকতে বেরাতে বেরিয়ে ঝাউ বন কিন্তু
নিশ্চয়ই দেখবেন। আমরা যে রিসোর্টে ছিলাম, তাদের নিজেদের ঝাউ বন ছিল। তাই ঝাউবনের সুনির্মল হাওয়ার উপভোগ টা রিসোর্টে
বসেই করতে পেরেছি।
0 Comments